1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সেচ সুবিধা না থাকায় মৌলভীবাজারে ১হাজার একর কৃষি জমিতে বোরো আবাদ নিয়ে শংকা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৮৮ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: সেচ সুবিধা না থাকায় প্রায় এক হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে নাসেচ সুবিধা না থাকায় প্রায় এক হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে না । মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু, দক্ষিণ ভুজবল গ্রাম ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘী হাওরে সেচ সুবিধা না থাকায় প্রায় এক হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এসব এলাকায় সেচ ব্যবস্থা চালু করা হলে অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আসবে। চাষের আওতায় এলে এসব জমিতে অনেক ফসল উৎপাদন হবে। জানা গেছে, সদর উপজেলার আজমেরু ও দক্ষিণ ভুজবল গ্রামের কৃষকরা লছিধারা ছড়া খাল দিয়ে নৌকায় ধান নিয়ে একসময় যাতায়াত করতেন। এই ছড়ার পানি দিয়ে দুটি গ্রামের কৃষক অনায়াসে কয়েকটি ফসল চাষাবাদ করতেন। স্বাধীনতার পর খাঞ্জার হাওরের লছিধারা ছড়া খাল পলি ও বালুতে প্রায় আড়াই হাজার ফুট ভরাট হয়ে যায়। এরপর স্থানীয় প্রভাবশালীরা তা দখলে নেয়। এতে পানির উৎসস্থল কোদালি ছড়ার সঙ্গে সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে আজমেরু ও দক্ষিণ ভুজবল গ্রামের চার শতাধিক কৃষক পানি না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত। তাদের দাবি, লছিধারা ছড়া খাল পুনরায় উদ্ধার করে খননের মাধ্যমে পাশের কোদালি ছড়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার। এতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অপরদিকে, রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘী হাওরের সাত গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক কৃষক পানির অভাবে ৫০০ একর জমিতে বোরো চাষ করতে পারছেন না। সেচ নিশ্চিত করতে কাউয়াদিঘী হাওরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা রাস্তার পাশে দিয়ে ১৯৮২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০৫ কিলোমিটার খাল খনন করে। দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনায় পলি জমে অধিকাংশ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেচের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এলাকার কৃষকরা বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কাউয়াদিঘী হাওর এলাকার বাসিন্দা সুন্দর আলী, আউয়ুব আলী,সবুর মিয়া বলেন, কয়েকশ একর জমি পতিত পড়ে আছে। খালের আশপাশে থাকা কিছু জমিতে চাষ হয়েছে। পাইপ লাগিয়ে পানি দেওয়া হয়। এতে খরচ অনেক বেশি।
একই এলাকার বাসিন্দা শফিক মিয়া দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, কয়েক বছর ধরে পানির অভাবে বোরো চাষ করতে পারি না। সমস্যা সমাধানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা তাও জানি না।
কাউয়াদিঘী হাওরের কৃষক রফিক মিয়া, মনু মিয়া ও ফজল আলী জানান, কাউয়াদিঘী হাওরের গোয়ালিকারা এলাকায় একটি জলকপাট নির্মাণ করা হলে কৃষকরা হাওরের পানি সেচের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে পানির সমস্যা সমাধান হবে।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, আজমেরু ও ভুজবল গ্রামের লছিধারা খাল পুনরায় খনন করলে এখানে বর্ষার পানি ধরে রাখা যাবে। পাশাপাশি কোদালি ছড়ার সঙ্গে যুক্ত করে দিলে কোদালি ছড়ায় পানি আসবে। কাউয়াদিঘী হাওরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষকের দাবি অনুযায়ী কাউয়াদিঘী হাওরে জলকপাটটি কোন জায়গায় করলে সবার উপকার হবে, এর সম্ভাব্যতা যাচাই করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারপর ব্যবস্থা নিতে হবে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, ডিজাইন করে ব্লক প্রক্রিয়ায় খালটি পুনরায় খননের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই এরিয়া জরিপ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর দফতরে পাঠয়েছি। আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। এতে সমস্যার সমাধান হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..